উক্ত মামলা জনাব ইশরাক হোসেনের পক্ষ থেকে ০৪/০৩/২০২০ ইং তারিখে দায়ের করা হয়। মামলায় বিবাদী পক্ষ জবাব প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে মামলা খারিজের জন্য আবেদন করেন, যা বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে একটি মিস আপিল দায়ের করেন এবং মামলাটির নিষ্পত্তি বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সময় “আউট অব লিস্ট” অবস্থায় রেখে দেন।
পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট স্টে ভ্যাকেট করে মামলাটি পুনরায় নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য প্রেরণ করেন। এরপর মামলার ইস্যু গঠন করা হয় এবং বাদী পক্ষসহ অন্যান্য সাক্ষীরা সাক্ষ্য প্রদান করেন। যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে আদালত ইভিএম জালিয়াতি, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাদানসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে রায় প্রদান করেন। অথচ সেই সময়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন উৎসে উক্ত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রতিবেদন ও তথ্য উপস্থাপিত হয়েছিল।
রায়ে নির্বাচন আইন ২০১০-এর ৫৯(খ) ধারার আলোকে আদালত ঢাকার সাবেক দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ফজলে নূর তাপসকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং পূর্বে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে জনাব ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে নতুন গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, আমাদের প্রাথমিক আবেদন ছিল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল ও গেজেট বেআইনি ও বাতিলযোগ্য, যা ০৪/০২/২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে আরজি সংশোধন করে, আমরা দাবি করি যে, ইশরাক হোসেনকে অবৈধভাবে পরাজিত দেখানো হয়েছে এবং তাঁকে বৈধ মেয়র হিসেবে ডিক্লারেশন দেওয়ার আবেদন জানাই। বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং উপস্থাপিত সকল প্রমাণের ভিত্তিতে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।