স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন
  • পার্ক ও ব্যায়ামকেন্দ্রে অত্যাধুনিক ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্র’ স্থাপন করা হবে।
  • সকালের ও সন্ধ্যার হাঁটাহাঁটির সুবিধার্থে পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে আরও পরিকল্পিত, আধুনিক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হবে।
  • ভেজাল, বিষ ও ফরমালিনমুক্ত খাদ্যপণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাজারে একটি করে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে।
  • বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ফুড কোর্ট নির্মাণ করা হবে।
  • সিটি স্বাস্থ্য ডাটাবেস তৈরি করা হবে এবং সেবার মান নিশ্চিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহ আধুনিকায়ন করা হবে।
  • ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
  • দেশব্যাপী মশা নিয়ন্ত্রণে সকল সংস্থার সমন্বয়ে ‘ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট’ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে।
  • তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় যথার্থ ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রচার, নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় রোধ এবং কার্যকর মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
  • ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলোকে কোনো পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হবে।
  • বেশি সংখ্যক মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কমিউনিটি হাসপাতালসমূহে গর্ভবতী নারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
  • নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বীমা ধাপে ধাপে চালুর লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ত করা হবে।
  • নারীবান্ধব CRHCC (সমন্বিত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) এবং PHCC (প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নির্মাণ করা হবে।
  • সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে পোশাকশ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল ও ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে।
  • বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
  • প্রতিবন্ধীদের জন্য বিদ্যমান পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো উন্নত করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর মানোন্নয়ন করা হবে এবং নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে শহরের শিল্প কারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, অগ্নিকাণ্ড, বয়লার বিস্ফোরণ, ভবনধস ইত্যাদি দুর্ঘটনার উৎস চিহ্নিত করতে সমীক্ষা পরিচালিত হবে। কর্পোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত সমাধান বাস্তবায়ন করা হবে।
  • সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণ একটি ভয়াবহ মহামারির রূপ নিয়েছে; এর পাশাপাশি রয়েছে যৌতুক, ইভটিজিং, অ্যাসিড নিক্ষেপ ও নারী-শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা। সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের চরম পতনকেই এই বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গণমাধ্যম, পাঠ্যক্রম, ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
৪/১ গোপীবাগ, ২য় লেন, মতিঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ
© ২০২৫ - ইশরাক আইসিটি ইউনিট