যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন
- ঢাকা মহানগরীর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও গলির মেরামত ও প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
- নিরাপদ সড়ক পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এবং সেগুলোর সংরক্ষণ ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
- প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে ধাপে ধাপে লিফট/এসকেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) স্থাপন করা হবে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
- শহরে একটি ওয়ান-স্টপ বাস সার্ভিস চালু করা হবে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, দৃষ্টিহীন, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা হবে।
- আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট, যেখানে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে, এবং দালালমুক্ত, যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
- যেসব এলাকায় ফুটপাত নেই, সেখানে ফুটপাত নির্মাণ করা হবে এবং যেখানে রয়েছে, সেগুলো সংস্কার, আধুনিকায়ন ও প্রয়োজনে প্রশস্ত করা হবে।
- রাজধানীর বাইরে থেকে আগত যাত্রীদের, বিশেষ করে রাতের বেলায়, নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে একটি সমন্বিত ও নিরাপদ শহর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে, যা বেসরকারি খাতের সহায়তায় পরিচালিত হবে।
- প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রশিক্ষিত ও নিরপেক্ষ কমিউনিটি পুলিশ গঠন করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
- পথচারী হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- বর্তমান পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হবে এবং বাণিজ্যিক এলাকায় মাল্টিস্টোরি পার্কিং ভবন, পার্কিং লট ও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
- বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও রোড ডিভাইডার ধ্বংসের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে যাতে জনদুর্ভোগ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়।
- ফুটওভার ব্রিজ ও ফ্লাইওভারগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
- জেব্রা ক্রসিংয়ে ডিজিটাল পুশ-বাটন সংকেত ব্যবস্থা চালু করা হবে যাতে পথচারীরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারেন।
- পথচারীদের জন্য বিভিন্ন স্থানে স্কাইওয়াক নির্মাণ করা হবে।
- নারীদের জন্য আলাদা ও নিরাপদ বাস সার্ভিস চালু করা হবে।
- বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ওঠানামার জন্য নির্ধারিত “bays” নির্মাণ করা হবে।
- সড়ক ও এলাকার দিক নির্দেশনার জন্য ওভারহেড ডিজিটাল বোর্ড স্থাপন করা হবে।
- রোড ডিভাইডার ও দ্বীপাঞ্চলের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে।
- ঢাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সঙ্গে সমন্বয়ে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণ করা হবে এবং প্রয়োজনে উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শ ও সহায়তা নেওয়া হবে।
- হাই-স্পিড ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস ও স্মার্ট বাস স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
- জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশ, বিআরটিএ ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- যেসব স্থানে সম্ভব, সেখানে সাইকেল ও মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন এবং সাইকেল পার্কিং লট নির্মাণ করা হবে।
- ভবিষ্যতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে রাজধানীতে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল ব্যবস্থার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপ শুরু হবে পিলখানা থেকে, যা লালবাগ কেল্লা, চকবাজার, সদরঘাট, গুলিস্তান হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হবে। দক্ষিণ ঢাকা থেকে আগত যাত্রীরা এই রুট ও চলমান মেট্রোরেল প্রকল্প ব্যবহার করে উত্তরের দিকে যাতায়াত করতে পারবেন। শ্যামপুর থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত আরও একটি সংযোগ স্থাপন করা হবে।
- ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি ৫০ বছর মেয়াদি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
- পরিকল্পিত নগর গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত খ্যাতিমান নগরপরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।