সিটি নির্বাচন ২০২০নির্বাচনী ইশতেহার

https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2025/05/sss.jpg
নাগরিক সেবা
  • ঢাকার গর্বিত ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সম্মিলনে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক মহানগরী গড়ে তোলা হবে।
  • গণশুনানির মাধ্যমে নগরবাসীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স সেক্টরকে সকল প্রকার দুর্নীতিমুক্ত করা হবে।
  • কর্পোরেশেনের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড-লাইসেন্স এবং অন্যান্য সব ধরনের সেবা তাৎক্ষণিক প্রদানের লক্ষ্যে দ্রুত জবাবদিহিতামূলক ওয়ান স্টপ সাভিস চালু করা হবে।
  • ঢাকা ওয়াসাসহ রাজধানীতে সেবা প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পয়ঃনিষ্কাষন আধুনিকায়ন, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
  • মূল সড়ক, অলিগলি, শাখা সড়ক, সড়ক দ্বীপ, খেলার মাঠ, পার্ক, নদী, খাল-বিল ও জলাশয়সহ মহানগরীর সর্বত্র সার্বক্ষণিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • রাতে নাগরিক সাধারণের চলাচল এবং জননিরাপত্তা বিধানকল্পে সড়কবাতিগুলো সচল রেখে আলোকিত ঢাকা নির্মাণ নিশ্চিত করা হবে।
  • দৃষ্টিনন্দন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী আধুনিক সড়কবাতি স্থাপন ও রাতের নগরীর উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • পরিচ্ছন্নতা সেবাসহ কেন্দ্রীভূত সকল নাগরিকসেবা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।
  • যাতায়াত, স্বাস্থ্যকর পয়ঃব্যবস্থাসহ সার্বিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে নগরীর বাজারগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। সেই সাথে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
  • কবরস্থান ও শ্মশানের সার্বিক উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ও ব্যবহারকারীবান্ধব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • জনগণের প্রয়োজনের নিরিখে অঞ্চলভিত্তিক অধিক সংখ্যক আঞ্চলিক কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
  • ওয়ার্ড ভিত্তিক ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন করা হবে। যেসব ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নেই সেখানে নতুন করে ব্যায়ামাগার স্থাপন করা হবে।
  • চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে আধুনিক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (Day care center) স্থাপন করা হবে।
  • নগরবাসীকে সস্তা দামে বিষমুক্ত ও ভেজালমুক্ত তাজা খাবারের ব্যবস্থা করে দিতে বিশেষ বিশেষ স্থানে ‘কৃষক মার্কেট’ ও ‘নাইট মার্কেট’ স্থাপন করা হবে।
  • DSCC এর প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
  • সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • যাত্রাবাড়ি-ডেমরা এলাকায় ‘ডিএনডি’ বাঁধের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধ এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
  • নাগরিকদের নিকট থেকে আদায় করা কর এর টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা বছরে কমপক্ষে দুইবার করদাতাদের সামনে উপস্থাপন করে নগরের আয়-ব্যয়ের হিসাবরক্ষণে স্বচ্ছতা প্রণয়ন করা হবে।
  • মেয়র নির্বাচিত হলে আমার সাথে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের সাক্ষাতের সুযোগ সার্বক্ষনিকভাবে উন্মুক্ত রাখা হবে।
নাগরিক বিনোদন
  • বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা, নদীর তীর রক্ষা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ এবং নদীভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র, ওয়াটার ট্যুরিজম/ নৌ পর্যটন গড়ে তোলা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের অধীনস্থ শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়ন, ধুনিকায়ন ও দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলি অক্ষুন্ন রেখে সংস্কার ও আধুনিক পর্যটন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
  • পর্যটকদের জন্য পুরনো ঢাকাকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাচীন দালান কোঠা সংরক্ষণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং পানীয় স্বাস্থ্যসম্মত ও দৃষ্টিনন্দনভাবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মধ্যে পরিবেশনের উদ্যোগ গ্রহণে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা উন্মুক্ত উদ্যানগুলোর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের যে সকল উন্মুক্ত উদ্যান, নদী ও খাল বেদখলে আছে সেগুলো দখলমুক্ত করা হবে।
  • ঢাকার ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন নাগরিক উৎসবের যেমন ঘোড়ার গাড়ির উৎসব, সাকরাইন (ঘুড়ি উৎসব), পিঠা উৎসব, নৌকা বাইচ ইত্যাদি আয়োজন করা হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে এসব উৎসব আয়োজনকে উৎসাহিত করা হবে।
  • ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্ষুদ্র পরিসরে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • ক্রিকেট, ফুটবলসহ অন্যান্য খেলার মানোন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা ও নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।
  • খেলার মাঠ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্রীড়া সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করা হবে। খেলাধূলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিএসআর উৎসাহিত করা হবে।
  • সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রীড়া ও খেলাধূলার ক্ষেত্রে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ স্কিম চালু করাসহ নতুন খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে।
যানজট নিরসন ও টেকসই উন্নয়ন
  • ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির রাস্তার সংস্কার ও প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
  • রাস্তা পারাপারে প্রয়োজনীয় স্থানে অধিক সংখ্যক আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, সংরক্ষণ ও সুপরিকল্পিত পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।
  • প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে পর্যায়ক্রমে এলিভেটর/এস্কেলেটর (চলন্ত সিড়ি) স্থাপন ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
  • নগরীতে ওয়ান স্টপ বাস সার্ভিস চালু, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, অন্ধ, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা হবে।
  • মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধাসহ অত্যাধুনিক ও পরিচ্ছন যাত্রী বিশ্রামাগার এবং টাউটমুক্ত যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন বাস টার্মিনাল উপহার দেব ইন শা আল্লাহ।
  • যেসব এলাকায় রাস্তায় ফুটপাত নেই প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সেখানে ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রয়োজনে বিদ্যমান ফুটপাত সংস্কার, আধুনিকায়ন ও প্রশস্তকরণ করা হবে।
  • রাজধানীর বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ করে রাত্রিকালে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত ও নিরাপদ সিটি পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
  • জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রশিক্ষিত নিরপেক্ষ কমিউনিটি পুলিশ গড়ে তোলা হবে।
  • হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
  • বিদ্যমান পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় বহুতল পার্কিং ভবন, পার্কিং লট ও আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
  • বার বার রাস্তা খোড়াখুড়ি এবং রোড ডিভাইডার ভাঙ্গার ফলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যে জনদুর্ভোগ ও স¤পদের ক্ষতি হয়, সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
  • ফুটওভার ও ফ্লাইওভারের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
  • পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে জেব্রা ক্রসিংগুলোতে ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করা হবে।
  • পথচারীদের জন্য বিভিন্নস্থানে ‘স্কাইওয়াক’ এর প্রবর্তন করা হবে।
  • মহিলাদের জন্য পৃথক ও নিরাপদ বাস সার্ভিস চালু করা হবে।
  • বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ওঠানামার জন্য নির্দিষ্ট ‘বে’ নির্মাণ করা হবে।
  • বিভিন্ন এলাকা /রাস্তা নির্দেশক ওভার-হেড ডিজিটাল বোর্ড তৈরি করা হবে।
  • সড়কদ্বীপের সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে।
  • ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও নাগরিক সাধারণের দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এই জন্য প্রয়োজনে উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণ করা হবে।
  • দ্রুতগামী ইলেকট্রিক্যাল বাস সার্ভিস ও স্মার্ট বাস স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
  • সর্বতোভাবে গণপরিবহনমুখী যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নে পুলিশ, বিআরটিএ এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট ও কোঅর্ডিনেশন অথরিটির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • সম্ভাব্য স্থানে সাইকেল ও মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক পৃথক লেন ও সাইকেল পার্কিং লট নির্মাণ করা হবে।
  • জনবহুল রাজধানীর ভবিষ্যৎ জনঘনত্বের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যথাসময়ে পাতালরেল নির্মাণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্বে পিলখানা থেকে শুরু হয়ে লালবাগ কেল্লা, চকবাজার, সদরঘাট, গুলিস্থান হয়ে মতিঝিলে শেষ হবে। ঢাকা দক্ষিণের যাত্রীরা এই রুটদ্বয়ের মাধ্যমে চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পের মতিঝিল স্টেশন হয়ে উত্তর ঢাকায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। আরেকটি সংযোগ শ্যামপুর থেকে  যাত্রাবাড়ী হয়ে মতিঝিলে অনুরূপভাবে সংযুক্ত হবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আমার ইতিবাচক মতবিনিময় হয়েছে।
  • ঢাকাবাসীর জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধিকে বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীর সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ৫০ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
নাগিরক স্বাস্থ্যসেবা
  • পার্ক ও ব্যায়ামাগারে অত্যাধুনিক ‘প্রাইমারি হেলথ্ চেকআপ সেন্টার’ স্থাপন করা হবে।
  • প্রাতঃ ও সান্ধ্যকালীন ওয়াকারদের সুবিধার্থে পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে অধিকতর পরিকল্পিত, আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
  • ভেজাল তথা বিষ ও ফরমালিনমুক্ত খাদ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাজারে জাল/ বিষ পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • বিভিন্ন সম্ভাব্য জনসমাগম স্থলে ‘ফুড কোর্ট’ তৈরি করা হবে।
  • সিটি হেলথ্ ডাটাবেজ গঠন ও সেবার মান নিশ্চিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা হবে।
  • ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশার সংক্রমণ থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে নিয়মিত মশক নিধনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
  •  Integrated Vector Management পদ্ধতিতে সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে দেশব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
  • যুবসমাজকে বাঁচাতে সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিরোধে ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাসহ কার্যকর মাদক নির্মূল কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করা হবে।
  • কোনো পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত রাসায়নিক কারখানাগুলো নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হবে।
  • অধিক সংখ্যক মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি হাসপাতালগুলোকে মহিলাদের মাতৃকালীন এবং ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুর বিনা খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
  • নাগরিকদের জন্য পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বীমার ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হবে।
  • নারীবান্ধব CRHCC (Comprehensive Reproductive Health Care Center) এবং PHCC (Primary Health Care Center) নির্মাণ করা হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা
  • বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে নৈশ-শিক্ষা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক শতভাগ স্বাক্ষরতা কার্যক্রম চালু করা হবে।
  • দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে বিভিন্ন আইটি কোর্স চালু করা হবে।
  • এলাকার উন্নয়নে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা হবে।
  • স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য অত্যাধুনিক স্টুডেন্ট বাস সার্ভিস চালু করা হবে।
  • দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ‘নগর শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা হবে।
  • কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুবিধার্থে ‘নলেজ সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে।
  • কর্মজীবী নারী ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য অধিক সংখ্যক হোস্টেল তৈরি করা হবে।
  • স্বল্প শিক্ষিত ও দরিদ্র যুবকদের যানবাহন মেরামত, কম্পিউটার, প্লাম্বিং, হার্ডওয়্যার, ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি, টিভি-ফ্রিজ, মোবাইল সার্ভিসিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগুলো আধুনিকায়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • বয়সভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশন বাজেটের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ গবেষণা এবং গুণগত ও কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
পরিবেশ উন্নয়ন, বনায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
  • ধুলাবালি দূর করার পাশাপাশি শব্দ ও বায়ুদূষণ প্রতিকারে Mist blower এর ব্যবহারসহ কার্যকর আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • বায়ু, শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘সোর্স কন্ট্রোল’ বা উৎস নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া হবে।
  • DSCC এর নিজস্ব ভূমিতে বৃক্ষ ক্লিনিক ও পোষ্যপ্রাণী ক্লিনিক স্থাপন করা হবে।
  • বাড়িতে ছাদবাগান উৎসাহিত করা হবে।
  • আরবান এগ্রিকালচার বা ‘নগরকৃষি’ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
  • বিদ্যমান পার্কগুলো এবং অব্যবহৃত জায়গায় নিমগাছ সহ পরিবেশের সাথে মানানসই সবুজায়ন করা হবে। পার্কগুলোর দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • নগরীর পশু ও জবাইখানগুলো হাইজেনিক ও বিশ্বমানে উন্নীত করতে আধুনিক ‘স্লটার হাউজ’ নির্মাণ করা হবে।
  • আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল’ গড়ে তোলা হবে।
  • পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে সব আবর্জনা অপসারণ নিশ্চিত করতে কার্যকরvব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • বিশ্বের উন্নত শহরের মত ‘ডোর টু ডোর ওয়েস্ট কালেকশন’ পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ করা হবে।
  • কম্প্যাক্টিং সুবিধা সম্বলিত পর্যাপ্ত সংখ্যক ওয়েস্ট কালেকশন ভেহিকেল (WCVs) এর মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
  • ঢাকা শহরে বিদ্যমান লেক, খাল পুনঃখনন ও সংস্কার করে লেক ও খালের পাশে ওয়াকওয়ে এবং বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম্পোজিট সার তৈরি এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে।
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতে বিশ্বের জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক 3R (Reduce, Refuse, Reuse) কনসেপ্ট ব্যাপকভাবে চালু করা হবে।
  • নগর উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, বর্জ্য অপসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রবীণ নবীন বিশেষজ্ঞ সমন্বয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন এবং তাদের পরামর্শমত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
  • মেডিকেল বর্জ্য এবং ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যরে কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে।
  • বিভিন্ন সড়কে এবং নাগরিক সমাবেশ ঘটে এমন স্থানে (যেমন: বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন, হাসপাতাল, বাজার, শপিং মল, যাত্রী শেড, টয়লেট ইত্যাদি) যাত্রী ও পথচারীদের নাগরিক সুবিধার্থে ট্র্যাশ- কম্প্যাক্টরসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আধুনিক ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে।
  • সার্বজনীন স্বাস্থ্যসম্মত সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার
  • রাজধানীর উন্নয়নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।
  • বয়স্কদের জন্য ‘সিনিয়র সিটিজেন’ সার্ভিস চালু করা হবে।
  • ই-বর্জ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্ম ক্ষতিকারক হওয়ায় বিদেশ থেকে আসা ই-বর্জ্যসহ যাবতীয় ই-বর্জ্যরে সঠিক কালেকশন ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তোলা হবে।
  • শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাবলিক প্লেসগুলো ‘ফ্রি এ্যান্ড সেফ ওয়াইফাই’ সুবিধার আওতায় আনা হবে।
  • জনসচেতনতামূলক কমিউনিটি রেডিও স্টেশন স্থাপন করা হবে।
  • শিক্ষিত বেকার যুবকদের ‘ফ্রিল্যান্সিং’ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয়ের পথ তৈরি করা হবে।
  • মহানগরীতে কয়েকটি ‘স্মার্ট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করা হবে যেগুলো অন্যান্য স্কুলের জন্য মডেল প্রযুক্তি প্রদর্শকের (technology demonstrator) কাজ করবে।
  • সিটি কর্পোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগে উচ্চ-ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
  • আধুনিক নগর পরিবহন বিনির্মাণে যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে অ্যাপ-নির্ভর সময়সূচী, ই-টিকেটিং সেবা প্রদানসহ সমন্বিত সেবা প্রদানের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স সংক্রান্ত জটিলতা, দুর্নীতি এবং নাগরিক হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যে মোবাইল অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে ট্যাক্স আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশেনের কার্যক্রমের স্বচ্ছতার লক্ষ্যে অবাধ তথ্য প্রবাহ (access to information) নিশ্চিত করা হবে।
  • নগরীর জনসমাগম স্থলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, সামাজিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, শেয়ারবাজারদও সম্বলিত ওভারহেড ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে।
  • Enterprise Resource Planning (ERP) নামে একটি আধুনিক সফ্টওয়্যারের মাধম্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
  • সকল নাগরিকের জন্য অনুসন্ধান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (Query Management System) এবং সেবার মান ট্র্যাক করার পদ্ধতি (Service Quality Tracking System) নিশ্চিত করা হবে।
  • নাগরিকদের তথ্য প্রদান এবং নাগরিকদের নিকট হতে অভিযোগ গ্রহণের জন্য নির্মানাধীন স্থাপনা গুলোতে QR Codes পদ্ধতি চালু করা হবে।
সমাজসেবা কার্যক্রম
  • সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে গার্মেন্টসসহ সব শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল ও ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।
  • প্রয়োজনীয় দ্রুত সেবাদানের লক্ষ্যে ‘মোবাইল মেডিকেল ইউনিট’ চালু করা হবে।
  • নগরের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য পুরান ঢাকা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মত ওয়ার্ড ভিত্তিক নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে।
  • অসহায় পথশিশু ও নারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • নগরবাসীর আবাসিক সমস্যা সমাধানে রাজউক, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
  • নগরীর নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য মানসম্মত ও স্বল্প ভাড়ায় আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
  • বস্তিবাসীর জীবন-মান উন্নয়নে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
  • সব ধর্মের বিদ্যমান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।
  • বিদ্যমান প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র উন্নয়ন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • বিদ্যমান মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র উন্নয়ন ও নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য দিবা-রাত্রি নিরাপদ আবাসন ও যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
  • বিগত কয়েক বছরে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিকের প্রাণহানী ঘটেছে। শত শত বিকলাঙ্গ হয়েছে। নগরীতে স্থাপিত শিল্প কারখানাগুলোতে প্রত্যক্ষ জরিপ চালিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড, বয়লার বিস্ফোরণ, কারখানা বিল্ডিং ধ্বসসহ দুর্ঘটনার উৎসসমূহ চিহ্নিত করে কর্পোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগে এগুলোকে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টসহ নগরজীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সমন্বিত কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
  • অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করে তাতে বস্তিবাসী ও বাস্তুভিটাহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করা হবে।
  • পুর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সাথে সমন্বয় করে ঢাকা মহানগরীতে বহুতল আবাসন (vertical residence) নির্মাণ করে স্বল্প আয়ের নাগরিকদের আবাসন নিশ্চিত করা হবে।
  • প্রয়োজনীয়তার নিরিখে অধিক সংখ্যক ‘প্রবীণ হিতৈষী’ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
জননিরাপত্তা আইন
  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
  • পর্যায়ক্রমে সব সড়ক, লেন ও বাইলেন সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
  • জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সহায়তায় ওয়ার্ডভিত্তিক ‘অপরাধপ্রবণ’ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • ওয়ার্ড/লেন/ গলিতে নৈশপ্রহরী এবং কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।
  • যে কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার অসহায় নাগরিককে নৈতিক ও আইনগত সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল সমন্বয়ে জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়ে তোলা হবে।
  • যে কোন মারাত্মক দুর্ঘটনা ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে পীড়িত মানুষ বিশেষতঃ মহিলাদের জন্য ট্রমা সেন্টার স্থাপন ও মানসিক পরিচর্যা (কাউন্সিলিং) এর ব্যবস্থা করা হবে।
  • রাজউকের সাথে সমন্বয় করে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ এবং পুনঃনির্মাণ/ সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৈতিকতার শক্তি পুনরূদ্ধার
  • সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া রয়েছে যৌতুক সমস্যা, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের দৌরাত্ম। আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের ভয়াবহ ধ্বস নামার কারণেই সমাজে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গণমাধ্যম, একাডেমিক কারিক্যুলাম, সার্বিক ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পুনরুদ্ধার করা হবে।
গ্রন্থাগার ও জাদুঘর
  • সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পরিচালিত গ্রন্থাগাারগুলো বিভিন্ন বিষয়ে লেটেস্ট পুস্তক ও জার্নাল সমৃদ্ধ করা হবে। গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের আলোকে গ্রন্থাগারগুলোর বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
  • সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পরিচালিত জাদুঘর আরও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা এবং আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসন
  • নগরীর সমস্যার গুরুত্ব অনুসারে স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
  • পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে বিশ্বের বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদসহ দেশে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নগর পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।
  • নগরের সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং কার্যকর সমাধানে পরিকল্পনাবিদদের কাজের পরিধি বৃদ্ধি এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
  • বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ডভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা হবে যাতে এই বিকেন্দ্রীকরণের সুফল দ্রুত তৃনমূল পর্যায়ে পৌঁছানো যায়।
  • নগর ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করে সেবার মান উন্নয়ন করা হবে।
  •  সমন্বিত ও কার্যকর ‘নগর সরকার’ ধারণার বাস্তবায়নে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য অঞ্চলভিত্তিক ‘অ্যাকশন এরিয়া প্ল্যান’ গ্রহণ করে রাজউকের মাস্টার প্ল্যানের সাথে সমন্বয় করা হবে।
  • অধিক সংখ্যক আয়বর্ধক বাণিজ্যিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
  • পর্যাপ্ত সংখ্যক ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে নানামুখী কর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • নিয়মিতভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • নিপীড়িত মানুষের পাশ দাঁড়িয়ে সামাজিক বৈষম্য নিরসনে অর্থবহ কর্মোদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • বস্তিবাসী এবং অনগ্রসর জনমানুষের জীবন-মান উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
  • দল-মত ও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মহানগরীর সকল জাতি-গোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্ম-কর্মের অধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। কাউকে কোন নাগরিকের ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত করতে দেয়া হবে না। ধর্ম যার যার, এ মহানগরী সবার।
  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর ঢাকা মহানগরীর এই ঐতিহ্য কোনরকমেই বিনষ্ট হতে দেয়া হবে না।
প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি
  • নির্বাচিত হলে স্বল্প মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
  • জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমন্বিত কার্যক্রমএর মাধ্যমে ত্বরিৎ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন
  • দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আমাদের নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্বস্তরে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করব ইন শা আল্লাহ।
  • যাবতীয় সেবাপ্রাপ্তির জন্য এবং সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে হট-লাইন চালু করা হবে। সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা /অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া যে কোনো নাগরিকের জন্য আমার দুয়ার এবং ব্যক্তিগত ফোন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে ইন শা আল্লাহ।

“নির্বাচনী ইশতেহার : সিটি নির্বাচন ২০২০”

https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0001-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0002-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0003-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0004-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0005-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0006-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0007-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0008-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0009-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0010-1.jpg
https://www.ishraque.com/wp-content/uploads/2020/11/Manifesto-of-Ishraque-Hossain-Final_page-0011-1.jpg
৪/১ গোপীবাগ, ২য় লেন, মতিঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ
© ২০২৫ - ইশরাক আইসিটি ইউনিট